স্বদেশ ডেস্ক:
সমুদ্রের মধ্যে তৈরি হওয়া পানির ঘূর্ণিঝড়! যার জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ওই ঘূর্ণিঝড়ে পানির অভিমুখ নিচ থেকে উপরের দিকে না উপর থেকে নিচের দিকে, তা বোঝার উপায় নেই। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ফ্লরিডার টাম্পা বে-তে এই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের ছবিটি তোলা হয়েছিল। ওই বিরল ছবিই আবার প্রকাশ্যে এনে এই ঘূর্ণিঝড় হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
মনে করা হয়, আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে থাকা ফ্লোরিডা-সংলগ্ন সামুদ্রিক এলাকায় বছরে প্রায়ই এই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় লক্ষ করা যায়।
সমুদ্রের উষ্ণ পানির উপরে আর্দ্র বাতাসের ঘূর্ণায়মান স্তম্ভগুলিকে পানিস্রোত বা ‘ওয়াটারস্পাউট’ বলা হয়। এগুলি যেকোনো ঘূর্ণিঝড়ের মতোই বিপজ্জনক হতে পারে। এই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
মজার বিষয় হলো, এই ঘূর্ণিঝড় বজ্রপাত ছাড়াই এবং মোটামুটি শান্ত আবহাওয়াতেও তৈরি হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এই জলস্রোতগুলোকে দু’টি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, ‘টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউট’ এবং ‘ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট’।
‘টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউট’গুলো মূলত পানির উপর তৈরি হয় বা উপকূলে তৈরি হয়ে ধীরে ধীরে সমুদ্রের দিকে অগ্রসর হয়। সমতলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সাথে ‘টর্নেডিক ওয়াটারস্পাউট’-এর চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই। সমতলের ঘূর্ণিঝড়ের মতোই এই সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ড বজ্রঝড়, উচ্চ গতিবেগের হাওড়া, শিলাবৃষ্টি এবং বিপজ্জনক বজ্রপাত হতে পারে।
অন্য দিকে, ‘ফেয়ার ওয়েদার ওয়াটারস্পাউট’গুলো সাধারণত সমুদ্রপৃষ্টেই তৈরি হয়। এগুলোর কেন্দ্রে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়ও দেখা যায় না। পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়গুলো শান্ত আবহাওয়াতেও তৈরি হতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা